ঢাকার মিরপুরের আরামবাগ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে জে-ড্রাম স্থাপন

দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন মাইলফলক

[ঢাকা ২৮ ডিসেম্বর’২০২৫] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহায়তায় রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত আরামবাগ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) সফলভাবে উদ্ভাবনী বর্জ্য সংকোচন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা জে-ড্রাম স্থাপন করেছে জাপান ক্লিন সিস্টেম কো., লিমিটেড (জেসিএস)। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে । এ উদ্যোগ দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এবিএম শামসুল আলম অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। অন্যদিকে, জেসিএস -এর পক্ষ থেকে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মাসাতাকা ইয়ামানো। জাইকা বাংলাদেশ অফিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি মিস ইজুমি শোজিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসটিএস -এ বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যেমন: অদক্ষ প্রচলিত উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কমপ্যাক্টর ট্রাকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা এবং দুর্গন্ধ ও তরল বর্জ্য নিঃসরণের মতো পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে কাজ করে জে-ড্রাম সিস্টেম। এছাড়াও, স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্জ্য বোঝাই এবং খালাস করার মাধ্যমে জে-ড্রাম পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করবে, শারিরীক শ্রমের পরিমাণ কমিয়ে আনবে এবং এসটিএস -এ ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে।

এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে জায়গায় এটি স্থাপন করা হয়, এটি সে স্থানের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করে এবং এর স্বয়ংক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের দক্ষতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, এর অত্যাধুনিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত সংরক্ষণ ব্যবস্থা দুর্গন্ধ, শব্দ ও পানি ফুটো হয়ে নিঃসরণ হওয়া প্রতিরোধ করে। স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি হওয়ায় এ ব্যবস্থা টেকসই। জাপান ক্লিন সিস্টেম কো., লিমিটেডের বিশ্বব্যাপী ১,৬০০টিরও বেশি ইউনিট স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। জাপানে প্রতিষ্ঠানটির বাজার হিস্যা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ।

এই স্থাপনাটি ‘এসডিজি  বিজনেস ভেরিফিকেশন সার্ভে’ -এর আওতাধীন প্রকল্পের অংশ। এর লক্ষ্য হল বাংলাদেশে দক্ষ ও স্বাস্থ্যসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার প্রসার এবং পাশাপাশি, খরচ কমানো ও সহজলভ্যতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের সম্ভাবনা উন্মোচনে ভূমিকা রাখা।

প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই নতুন ব্যবস্থাপনাটি এসটিএস কর্মীদের কাজের পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। এতে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর পরিবহন খরচ কমবে। তাছাড়া, এসটিএস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনার আশেপাশের পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধির উন্নতি হবে, যা বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মামুনুল হকের বাৎসরিক আয় ১৩ লাখ টাকা, ব্যাংকে নেই কোনো অর্থ

» শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন হান্নান মাসউদ

» দেশবাসী পরিবর্তন চায়, আমরা সেই পরিবর্তনটি আনব : গোলাম পরওয়ার

» গণভোটে হ্যাঁ ভোট জয়যুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো: আসিফ মাহমুদ

» হাদি হত্যার আবেগ পূঁজি করে আমরা কাউকে সংসদে পাঠাবো না, ঢাকা ৮ আমাদের লক্ষবস্তু না: জাবের

» দেশকে সুন্দর করে গড়ে তোলার আহ্বান তারেক রহমানের

» এনসিপির মুখপাত্র হিসেবে যোগ দিলেন আসিফ মাহমুদ

» ভোগান্তি এড়াতে নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

» নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ঘোষণা বিসিবির, খেলবেন যারা

» জে-৩৬ ও জে-৫০: যুদ্ধবিমানের ধারণাই বদলে দিচ্ছে চীন?

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ঢাকার মিরপুরের আরামবাগ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে জে-ড্রাম স্থাপন

দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন মাইলফলক

[ঢাকা ২৮ ডিসেম্বর’২০২৫] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহায়তায় রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত আরামবাগ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) সফলভাবে উদ্ভাবনী বর্জ্য সংকোচন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা জে-ড্রাম স্থাপন করেছে জাপান ক্লিন সিস্টেম কো., লিমিটেড (জেসিএস)। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে । এ উদ্যোগ দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এবিএম শামসুল আলম অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। অন্যদিকে, জেসিএস -এর পক্ষ থেকে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মাসাতাকা ইয়ামানো। জাইকা বাংলাদেশ অফিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি মিস ইজুমি শোজিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসটিএস -এ বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যেমন: অদক্ষ প্রচলিত উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কমপ্যাক্টর ট্রাকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা এবং দুর্গন্ধ ও তরল বর্জ্য নিঃসরণের মতো পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে কাজ করে জে-ড্রাম সিস্টেম। এছাড়াও, স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্জ্য বোঝাই এবং খালাস করার মাধ্যমে জে-ড্রাম পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করবে, শারিরীক শ্রমের পরিমাণ কমিয়ে আনবে এবং এসটিএস -এ ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে।

এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে জায়গায় এটি স্থাপন করা হয়, এটি সে স্থানের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করে এবং এর স্বয়ংক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের দক্ষতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, এর অত্যাধুনিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত সংরক্ষণ ব্যবস্থা দুর্গন্ধ, শব্দ ও পানি ফুটো হয়ে নিঃসরণ হওয়া প্রতিরোধ করে। স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি হওয়ায় এ ব্যবস্থা টেকসই। জাপান ক্লিন সিস্টেম কো., লিমিটেডের বিশ্বব্যাপী ১,৬০০টিরও বেশি ইউনিট স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। জাপানে প্রতিষ্ঠানটির বাজার হিস্যা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ।

এই স্থাপনাটি ‘এসডিজি  বিজনেস ভেরিফিকেশন সার্ভে’ -এর আওতাধীন প্রকল্পের অংশ। এর লক্ষ্য হল বাংলাদেশে দক্ষ ও স্বাস্থ্যসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার প্রসার এবং পাশাপাশি, খরচ কমানো ও সহজলভ্যতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের সম্ভাবনা উন্মোচনে ভূমিকা রাখা।

প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই নতুন ব্যবস্থাপনাটি এসটিএস কর্মীদের কাজের পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। এতে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর পরিবহন খরচ কমবে। তাছাড়া, এসটিএস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনার আশেপাশের পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধির উন্নতি হবে, যা বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com